আনন্দবাজার পত্রিকা ভারতের অন্যতম বৃহৎ মিডিয়া গোষ্ঠী এবিপি গ্র"প থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা দৈনিক। প্রায় ৬০ লক্ষ পাঠক সমৃদ্ধ আনন্দবাজার পত্রিকা হল পূর্ব ভারতে সবচেয়ে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র। বছরের পর বছর ধরে আনন্দবাজার পত্রিকা যে সম্মান এবং স্বীকৃতি পেয়ে এসেছে, তার থেকেই প্রমাণ হয়, সাধারণ মানুষের মনে এই সংবাদপত্রের প্রতি কী অপরিসীম ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। সাম্প্রতিক কালেও আনন্দবাজার পত্রিকা তার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য একাধিক সম্মানে স্বীকৃত হয়েছে:
আনন্দবাজার পত্রিকা মানেই ৯২ বছরের একটি ঐতিহ্যশালী র্ব্যান্ড। এই সংবাদপত্র শুধু বাংলা সংস্কৃতি এবং পশ্চিমবঙ্গের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সমর্থকই নয়, এক অর্থে আনন্দবাজার পত্রিকা সারা বিশ্বের বাঙালিকে যে কোনও বিষয়ে একটি মতামত তৈরি করতে প্রভাবিত করে। সকালের চায়ের কাপের সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকা না-পেলে যে কোনও বাঙালির সকালটা যেন হয়েও হয়।
১৯২২ সালের ১৩ মার্চ আনন্দবাজার পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় একটি সান্ধ্য দৈনিক হিসেবে। দিনটা ছিল দোল, তাই পুরো সংবাদপত্রে প্রকাশিত সমস্ত অক্ষরের রং ছিল লাল। ইংরেজ প্রশাসন নতুন এই বাংলা সংবাদপত্রকে এক অবশ্যম্ভাবী 'বিপদ সঙ্কেত' বলে চিহ্নিত করল।
আজ আনন্দবাজার পত্রিকা অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। গত নয় দশকে বহুল প্রচারিত এই বাংলা সংবাদপত্র অংসখ্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। পূর্ব ভারতে তো অবশ্যই, এমনকী ভারতেও এই সংবাদপত্র অফসেট প্রিন্টিং-এর অন্যতম প্রথম প্রবর্তক। রোমান ভাষা ছাড়া অন্য কোনও ভাষাকে যান্ত্রিক ভাবে ব্যবহৃত করা এবং পরবর্তী কালে বাংলা এবং হিন্দি টাইপরাইটার তৈরির জন্য এই সংবাদপত্র অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে। বাংলা সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতার জন্যই ইউনিকোড সফটওয়্যার তৈরির দশ বছর আগেই আনন্দবাজার পত্রিকা বাংলা অক্ষর নিয়ে একটি স¤পূর্ণ নতুন বাংলা 'ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার' তৈরি করে।
আজ আপনার পাড়া, শহর বা জেলায় কী ঘটছে, তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটা খবরের মতোই এক রকম গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় খবরের এই প্রয়োজনীয়তার জন্যই এখন আনন্দবাজার পত্রিকায় চারটি পাতা সপ্তাহে ৬ দিন প্রকাশিত হয়, যেখানে শুধুই আপনার জেলা/ শহরের খবর থাকে। এই মুহূর্তে ১২টি জেলার পাতা প্রকাশিত হয় - শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি, উত্তরবঙ্গ, বর্ধমান, আসানসোল-দুর্গাপুর, বাঁকুড়া-পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মেদিনীপুর-খক্ষপুর, হাওড়া-হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতা। এর সঙ্গেই কলকাতা শহরের মধ্যে 'কলকাতা উত্তর' এবং 'কলকাতা দক্ষিণ' নামে অঞ্চল অঞ্চল ভিত্তিক দু'টি পৃথক পাতা সপ্তাহে এক দিন প্রকাশিত হয়।
সংবাদপত্রে প্রতিদিনের বিভিন্ন খবর এবং জেলা অথবা শহরের বিশেষ পাতা ছাড়াও আনন্দবাজার পত্রিকা সারা সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নানারকম ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে: